বিনামূল্যে রেশনে খাদ্য সামগ্রী পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন দেশের কোটি কোটি মানুষ। এক কথায় পশ্চিমবঙ্গ তথা গোটা ভারতের গরিব মানুষের কাছে সাহারা হচ্ছে বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী পাওয়া। বিনামূল্যে রেশনে খাদ্য সামগ্রী পেয়েই দু-বেলা পেটে অন্ন যাচ্ছে বহু মানুষের। তবে বিনামূল্যে রেশনে চাল-ডাল সরবরাহ করতে গিয়ে নানান ধরনের সমস্যার মুখে পড়ছে হচ্ছে সরকারকে।
রেশনে হচ্ছে জালিয়াতি। জালিয়াতির কারণে প্রাপ্ত রেশন পাচ্ছেন না অনেকেই। কেউ কেউ মৃত মা-বাবার রেশন কার্ড দিয়ে তুলে নিচ্ছিলেন তার ভাগেরও রেশন। এজন্য সরকার রেশন ব্যবস্থায় একটু বদল এনেছিল। এ জন্য সরকার রেশনকার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক (Aadhar card link) করা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছিল। যাতে এবার থেকে শুধুমাত্র আঙুলের ছাপ দিয়েই রেশন মাল দেয়া হবে গ্ৰাহকদের। কিন্তু নতুন এই পদ্ধতিতেও ঘটছে বিপত্তি। কারো কারো আঙুলে ছাপ না মেলায় রেশন পাচ্ছিলেন না অনেকে! আবার কারো আঙুলের ছাপ উঠলেও নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে মোবাইলে ঢুকছিল না OTP! এজন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এবার থেকে আর আঙ্গুলের ছাপ নয় মানুষের শরীরের একটি বিশেষ অঙ্গ স্ক্যান করেই এবার থেকে দেয়া হবে রেশনে মাল।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার থেকে চোখের রেটিনা স্ক্যান করে দেওয়া হবে রেশনে মাল। “হ্যা” ঠিকই শুনেছেন। রেশন ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে এবং আরো সহজ করতে এই ব্যাবস্থা গ্রহণ করত চলেছে কেন্দ্র সরকার থেকে শুরু করে সব রাজ্য সরকার গুলো। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই এপ্রিল (April) মাস থেকে আমাদের রাজ্যের কিছু রেশন দোকানে চোখের রেটিনা স্ক্যান করে রেশনে মাল দেয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এবং খুব শীঘ্রই এই ব্যাবস্থা পশ্চিমবঙ্গের বাকি রেশন দোকান গুলোতেও চালু করা হবে বলে জানায় সরকার। তবে চোখের রেটিনা স্ক্যান করে রেশনে মাল দেওয়া, এই পক্রিয়া ওতো সহজ নয় এর জন্য রেশন ডিলারদের বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে হয়। সরকার জানিয়ে যে রেশন ডিলারদের এই বিশেষ প্রশিক্ষণের কাজও শুরু করা হবে খুব তাড়াতাড়ি।