কম টাকায় শুরু করা যাবে, অল্প সময়ের মধ্যেই সফল হওয়া যাবে, ব্যবসায় (business) প্রতিযোগিতা থাকবেনা- এমন কী কোনো ব্যবসা আছে? উওর হলো হ্যাঁ আছে। আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের সঙ্গে এমনই পাঁচটি স্মল বিজনেস আইডিয়া বা ছোট ব্যবসার আইডিয়া ( small Buisness Idea) শেয়ার করবো। কী কী সেই পাচটি ব্যবসার আইডিয়া? জানতে হলে সম্পূর্ণ প্রতিবেদটি পড়ে দেখুন।
টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসাঃ কম টাকা দিয়ে শুরু করা যাবে কিন্তু লাভ অনেক বেশি হবে-এমন এক ধরনের ব্যবসা হলো প্রিন্টিং বিজনেস (printing Business) আপনি খেয়াল করে থাকবেন ছোটোবড়ো অনেক কোম্পানি নিজের কোম্পানির বা ব্র্যান্ডের নামে টি-শার্ট,কফি কাপ, ক্যাপ ইত্যাদি বের করে। এইসব কাজগুলো হয় প্রিন্টিং এর বিজনেসে। প্রিন্টিং এর বিজনেসে সবচাইতে ভালো সুবিধা হলো- এই ব্যবসা শুরু করতে আপনার একদিকে যেমন কম টাকা লাগে,ঠিক সেরকমই কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যবসায় সফলতা আসে। আর সবচাইতে বড় কথা হলো এখানে আপনার প্রোডাক্ট তৈরি করতে যত টাকা খরচ হবে, তার থেকে কয়েক গুণ বেশি আপনার লাভ হবে। উদাহরণস্বরূপ যদি আপনি একটি ননপ্রিন্টেট টি-শার্ট ৪০ টাকাতেও কেনেন, তাহলে সেটা প্রিন্ট করে আপনি অনায়াসেই ১০০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।
ওয়েডিং প্ল্যানারের ব্যবসাঃ দ্বিতীয় যে ব্যবসা সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চাইবো তা হলো ওয়েডিং প্ল্যানারের ব্যবসা। ওয়েডিং প্ল্যানারের ব্যবসা অত্যন্ত সহজ ও লাভদায়ক। এই ব্যবসায় আপনাকে আপনার নিকটবর্তী অনুষ্ঠান বাড়ির দায়িত্ব নিতে হবে এবং সেখানকার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ সঠিকভাবে পালন করতে হবে। আপনার কাজ কেমন হবে,অনুষ্ঠান কতো বড়ো, শহর নাকি গ্রাম- সেই অনুযায়ী আপনার কাজের দাম ঠিক করতে হবে। যদি বড় কোন অনুষ্ঠান আপনার কাছে সামলাতে হয় তাহলে সেখান থেকে আপনি অনায়াসেই মোটা টাকা কামিয়ে নিতে পারবেন। বেশ কয়েক বছর আগে পর্যন্ত শহরাঞ্চলে ওয়েডিং প্ল্যানারদসর চাহিদা অতোটা না থাকলেও, যত দিন যাচ্ছে ততই ওয়েডিং প্ল্যানারদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দুধের ব্যবসাঃ যদি আপনার বাড়ি একটু গ্রামাঞ্চলে হয়ে থাকে তাহলে আপনি দুধের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কিছু টাকা দিয়ে কয়েকটি ভালো জাতের গরু কিনে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।। যদি আপনি ৫টি গরুও রাখতে পারেন, আর তাদের থেকে প্রতিদিন ৫০ লিটার দুধ পান, তাহলেও আপনার দৈনিক রোজগার ২,০০০ টাকার কাছাকাছি থাকবে। পরবর্তীতে আপনি গরুর সংখ্যা বাড়াতে পারেন। গ্রামাঞ্চলের মানুষের জন্য এটা সবচেয়ে সহজ ও লাভদায়ক ব্যবসা।।
বেকারির ব্যবসাঃ বেকারিতে যে সমস্ত জিনিস তৈরি হয়,তার চাহিদা কোনোদিনই কমবেনা। ফলে বেকারির যে ব্যবসা রয়েছে সেটাও কোনো দিন বন্ধ হবে না। তাই আপনি চাইলে বেকারির ব্যবসা শুরু করে দেখতে পারেন। তবে বেকারির ব্যবসা শুরু করার আগে আপনার বেশ কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। যেমন- আপনার এলাকায় কোনো বেকারির ফ্যাক্টরি রয়েছে কিনা, আপনার এলাকায় বেকারির প্রোডাক্ট সেল করা যাবে কিনা ইত্যাদি। বেকারির ব্যবসা শুরু করতে পারলে প্রচুর পরিমাণে লাভ করা যায়। এখানে আপনি বাড়িতে বাড়িতে যেমন মাল দিতে পারেন, সেরকমই পাইকারি মূল্যেও মাল দিতে পারেন। ফলে ব্যবসায় লাভের হার অনেক বেশি থাকে।।
ছাগলের খামারঃ বাড়িতে একটু বড় জায়গা থাকলে, আপনার বাড়ি থাকলে আপনি ছাগলের খামার শুরু করতে পারেন। ছাগল যে শুধুমাত্র মাংসের জন্যেই পালন করা হয় তা নয়, অনেকে দুধের জন্যেও ছাগল পালন করেন। ভালো জাতের ছাগল মাংস ও দুধ উভয়ই দিয়ে থাকে। অল্প টাকা খরচ করে ছাগলের খামার শুরু করলে এটা আপনার জন্য লাভদায়ক হতে পারে। একটা ভালো খাসির দাম অনায়াসে ১০,০০০ টাকা চলে যায়। আপনার খামারে যদি ১০ টা খাসিও থাকে, তাহলে ৬ মাস পালন করে তা থেকে আপনি ১,০০,০০০ টাকার বেশি রোজগার করতে পারবেন।