মধ্যবিত্ত পরিবারে সবচেয়ে বড় চিন্তা হলো বিদ্যুত বিল (Electric bill) নিয়ে। কারণ হাজার চেষ্টা করেও অতিরিক্ত বিদ্যুত বিল থেকে কিছুতেই রেহাই মিলছে না অনেকের। আবার অনেকের মাস শেষে বিদ্যুত বিল তাঁর একটি জলজ্যান্ত উদাহরণ। তাই এক্ষেত্রে আপনার কি করা উচিত যাতে বিদ্যুত বিল আপনার সাধ্যের মধ্যেই থাকে?
আপনি হয়তো শীতকালে বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করা নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবেদন পড়ছেন। এবং সেখানে বলা কথা অনুসরণ করে বিদ্যুত বিল ৫০% পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পেরেছেন। তবে সামনেই তো আবার আসছে শীতের পরে গরম কাল, তখন তো বিদ্যুত বিল আরো বেশি আসবে, তখন কি করবেন আপনি? তাই জেনে নিন গ্রীষ্মকালে এই ৪ টোটকা, ফলো করলেই বিদ্যুৎ বিল ৭০ থেকে ৭৫% পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারবেন আপনি।
১) বৈদ্যুতিক চুলা বা ইলেকট্রিক হিটার– এই ডিভাইস গুলো প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ করে। অপরদিকে আবার আজকাল অনেকে বড় সাইজের হিটার কিনে থাকেন। এমন অবস্থায় দিনে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা এই বৈদ্যুতিক চুলা ব্যবহার করলে অনেক ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই চেষ্টা করবেন গরম কালে এসব ডিভাইস ব্যবহার না করার।
২) এয়ারকন্ডিশন– ঘর ঠান্ডা রাখতে আজকাল বাড়িতেও অনেকে এয়ার কন্ডিশন বা এসি চালান। কিন্তু এয়ার কন্ডিশন আপনার বিদ্যুৎ বিল খরচ প্রচুর বাড়িয়ে দেও। তাই চেষ্টা করবেন একটু বেশি টাকা খরচ করে ভালো রেটিং দেখে একটি এয়ার কন্ডিশন কেনার, কারণ এই ধরনের এয়ার কন্ডিশনে ইলেকট্রিক সেভিংস (electric savings) সিস্টেম থাকে।
৩) ফ্রিজ– এয়ার কন্ডিশনের মতো ফ্রিজও তাই, একটি ভালো কোম্পানি 5 স্টার ফ্রিজ আপনার বিদ্যুৎ বিল ৫০% পর্যন্ত সেভ করতে পারে। অন্যদিকে বছরের প্রায় প্রত্যেক দিনই ফ্রিজ চালিয়ে রাখতে হয়। তাই একটি ভালো মানের ফ্রিজ কেনা বুদ্ধিমানের কাজ।
৪) এয়ারকন্ডিশন– সব সময় এয়ার কন্ডিশন চালিয়ে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ নয়, বদলে গরম কালে বাড়ির দরজা-জানলা খোলা রাখলে বাইরের মুক্ত ঠান্ডা বাতাস ঘরের মধ্যে ঢোকে। আর এই বাতাস কোন এয়ার কন্ডিশনের থেকে কম নয়।