রাজ্যের মহিলাদের জন্য ২০২১ সালেই শুরু হয়ে গিয়েছিল লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প (Laxmi bhandar Scheme।) রাজ্যের মহিলারা এই প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা তো পাচ্ছেন-ই। তবে এর পাশাপাশি হয়তো এবার নতুন কোনো প্রকল্পের সুবিধা পাবেন মহিলারা। কারণ লোকসভা ভোটের আগেই দাবি উঠেছে নতুন এক প্রকল্প ‘সরস্বতী ভান্ডার’ শুরু করার। এবার কী এই সরস্বতী ভান্ডার প্রকল্প, কী করেই বা এই জিনিসটা সামনে এলো? সেটাই বিস্তারিত জানাবো এই প্রতিবেদনে।
যদি আপনি আমাদের রাজ্যের সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্ন করেন যে, বর্তমানে রাজ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রকল্প কোনটা, তাহলে সকলেই উত্তর দেবেন লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প। ২০২১ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটা রাজ্যের মহিলাদের এতটাই গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে যে; এখন হয়তো রাজ্যের বেশিরভাগ মহলেই ভাবেন যে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা না ঢুকলে তাদের চলবে কী করে।
যাইহোক, রাজ্যে লক্ষ্মী ভান্ডার যে আরও বেশ কয়েক বছর চলবে সেটা নিয়ে চিন্তা নেই। কিন্তু এখন যেই বিষয়টা আলোচনায় উঠে এসেছে সেটা হল- লক্ষীর ভান্ডারের পর সরস্বতী ভান্ডার শুরু করার দাবি। সম্প্রতি বাংলার বিশিষ্ট একজন শিল্পী ঝর্ণা ভট্টাচার্য্য নির্বাচন কমিশনেরর অফিসের সামনে একটি প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং তিনি একটি বিষয়ের খুব তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তার প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘লক্ষীর ভান্ডারের পর সরস্বতী ভান্ডার।’
ওনার প্ল্যাকার্ডে আরো লেখা ছিল ‘নির্বাচনী প্রচারে অশালীন ভাষার প্রয়োগ বন্ধ করুন’। আসলে উনার কথা ছিল- বর্তমানে রাজনীতিতে ভোটের লড়াইয়ে নেতারা একে অপরের বিরোধিতা করতে গিয়ে যেভাবে অশালীন ভাষার প্রয়োগ করেন, তা কখনোই কাম্য নয়। যাদের হাতে দেশ রয়েছে তাদের মুখের ভাষায় যদি এমন হয় তাহলে তাদের থেকে ভবিষ্যতের কারিগর বা শিশুরা কিই-বা শিখবে।
শিল্পী মহাশয়া রাজনৈতিক প্রচারে এমন অকথ্য শব্দের প্রয়োগ বন্ধ করতে, তিনি একটু ভিন্নভাবে এই জিনিসটার প্রতিবাদ করেছেন। উনি যেটা লিখেছেন সরস্বতী ভান্ডার, আসলে উনি বলতে চেয়েছেন যারা এই রাজনৈতিক লড়াইয়ে নামছেন, তাদের মা সরস্বতীর একটু কৃপার প্রয়োজন রয়েছে। যাতে তাদের একটু সঠিক শব্দের জ্ঞান হয়। রাজনৈতিক লড়াইয়ে নামলেও তাদের যেন সঠিক শব্দের হুঁশ থাকে।