লক্ষীর ভান্ডার ছাড়াও কিন্তু রাজ্যের সাধারণ মানুষদের জন্য একটি বিশেষ আর্থিক প্রকল্প রয়েছে। যেই প্রকল্পে রাজ্যের একটি বিশেষ শ্রেণীর মানুষ,প্রতি মাসে পেয়ে থাকেন নগদ ৫,০০০ টাকা। কিন্তু কী সেই বিশেষ আর্থিক প্রকল্প? কারা সেই প্রকল্পের সুবিধা পান? মোট কত টাকাই বা পাওয়া যায়?? এই সকল বিষয়ই জানতে পারবেন আজকের এই প্রতিবেদনে।
রাজ্যের এই নতুন আর্থিক প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সমুদ্র সাথী প্রকল্প’ (WB Samudra Sathi Prokalpa). এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মানুষদের প্রতিমাসে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। তবে সকলেই যে এই প্রকল্পের সুবিধা পান তেমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। রাজ্যের যেই সমস্ত মানুষ পেশাগত দিক থেকে মৎস্যজীবী,শুধুমাত্র তারাই এই প্রকল্পের সুবিধা পান।
সমুদ্র সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মৎস্যজীবী মানুষেরা মাসিক ৫ হাজার টাকা হিসেবে দুইমাসে মোট ১০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। মৎস্যজীবীদের এই সুবিধা দেওয়ার কারণ হলো-বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়ে সমুদ্রের আবহওয়া প্রতিকূল থাকায়, মৎস্যজীবীদের পক্ষে সমুদ্র গিয়ে মাছ ধরাটা যথেষ্ট কষ্টকর হয়ে পড়ে। সেই সময় রোজগার না থাকায় তাদের সংসার চালাতেও নাজেহাল হতে হয়।
সেই প্রতিকূল অবস্থায় রাজ্যের মৎস্যজীবীদের যাতে সংসার চলাতে হিমশিম না খেতে হয়, সেজন্যই সমুদ্র সাথে প্রকল্প শুরু করা হয়েছে।।
সমুদ্রের সাথী প্রকল্প অনলাইন আবেদন:
রাজ্যের যে সমস্ত মৎস্যজীবীদের বর্তমান বয়স অন্ততপক্ষে ২১ এবং পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তর 24 পরগনা জেলার স্থায়ী বাসিন্দা শুধুমাত্র তারাই সমুদ্র সাথেই প্রকল্পে জন্য আবেদনযোগ্য প্রার্থী যারা আবেদন তারা সরাসরি Samudra Sathi Scheme’র অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে https://wbfisheries.wb.gov.in গিয়ে আবেদন করতে পারেন। যারা সঠিকভাবে আবেদন করবেন,তারাই কিন্তু এপ্রিল থেকে মে মাসের জন্য ৫০০০ টাকা এবং মে থেকে জুলাই মাসের জন্য ৫০০০ টাকা, এইভাবে মোট ১০ হাজার টাকা পাবেন।
▪ আবেদন করতে কী কী নথিপত্র লাগবে?
সমুদ্র সাথী স্ক্রিমে আবেদন করতে চাইলে আবেদনকারীর অবশ্যই-
১) ভোটার কার্ড
২) আধার কার্ড
৩) জন্ম-প্রমাণ পত্র
৪) এক কপি বা দু কপি নিজের পাসপোর্ট সাইজ ফটো
৫) আধার লিঙ্ক করানো এবং সচল একটি ব্যাংক একাউন্ট সহ অন্যান্য কিছু নথিপত্র থাকতে হবে।।