দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো আমাদের রাজ্যেরও প্রচুর সংখ্যক সাধারণ মানুষ রেশন কার্ড ব্যবহার করেন। এবং রাজ্য সরকার বিনামূল্যে যে রেশন দিয়ে থাকে, তাতে রাজ্যের প্রচুর সংখ্যক মানুষ উপকৃতও হন। তবে সাধারণ মানুষ এই উপকার থেকে বা এই সুবিধা থেকে যাতে কখনো বঞ্চিত না হন এবং এই বিশেষ সরকারি সুবিধায় যাতে কোন জালিয়াতি প্রবেশ না করে, সেজন্য রাজ্য সরকার রেশন ব্যবস্থায় চালু করতে চলেছে এক নতুন নিয়ম। কিন্তু কী সেই নিয়ম? আর এতে সাধারণ মানুষেরই কিভাবে লাভ হবে? চলুন জেনে নেয়া যাক।
সারা দেশে যখন করোনা মহামারী আসলো, তখন দেশের সাধারণ, দরিদ্র মানুষদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়া শুরু হয়, যাতে তারা রেশনের চাল, আটা খেয়ে দিন কাটাতে পারেন। বতর্মানে কোভিড না থাকলেও সরকার এখনো বিনামূল্যে রেশন দিয়ে যাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের লাভ থাকলেও এখানেই সমস্যা রয়েছে সরকারের। কারণ,দেশে ঠক- জালিয়াতির অভাব কোথায়? অন্যান্য সরকারি দপ্তরের মতো রেশনেও জালিয়াতি শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকার সেই জালিয়াতি বন্ধ করতেই নতুন ব্যবস্থা নিয়েছে।
ভুয়ো বা জাল রেশন কার্ড এবং মৃত ব্যক্তির রেশন কার্ড ব্যবহার করে যাতে কেউ, সাধারণ মানুষের ভাগের রেশন চুরি না করতে পারে, সেইজন্য অনেকদিন আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যেন সকলে নিজের রেশনের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করিয়ে নেন। সরকারের নির্দেশ মতো সাধারণ মানুষ সেটা করলেও সমস্যা কিছুটা থাকে। কারণ বতর্মানে আধার কার্ডের নম্বর আর হাতের ছাপ দিয়েই বড়ো বড়ো জালিয়াতি হচ্ছে।
তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আধার কার্ডের সঙ্গে এবার রেশন কার্ড ধারীর চোখের রেটিনা স্ক্যান করে রাখা হবে, যাতে কোনোভাবেই আর রেশন দুর্নীতি না হয়। রেটিনা স্ক্যান করা থাকলে একজনের রেশন অন্যজন কোনো ভাবেই নিতে পারবেন না। রেটিনা স্ক্যানিংয় মেশিন খুব শীঘ্রই প্রতিটি রেশনে দেওয়া হবে। যদি এই কাজ সম্পন্ন হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ যে উপকৃত হবেন, তাতে সন্দেহ নেই।