পোস্ট অফিসের প্রচুর সংখ্যক কাজ থাকলেও এখনো পযর্ন্ত যথেষ্ট পোস্ট অফিস নেই। সেই কারণে প্রতিটা পোস্ট অফিসেই প্রচুর পরিমানে ভিড় দেখা যায়। গ্রাহকদের যাতে অধিক ঝামেলা না পোহাতে হয় এবং প্রতিটা অঞ্চলেই যাতে সাধারণ মানুষ পোস্ট অফিসের সুবিধা নিতে পারেন, সেই কারণেই পোস্ট অফিস ফ্র্যানচাইজি দিয়ে থাকে। চাইলে আপনিও পোস্ট অফিসের ফ্র্যানচাইজি নিয়ে, ভালোভাবে কাজ করে প্রচুর টাকা রোজগার করতে পারেন।। কিন্তু কিভাবে? জানতে হলে পড়তে থাকুন।
কিভাবে টাকা রোজগার করা যাবে সেটা জানার আগে জেনে নিন যে আপনি কিভাবে পোস্ট অফিসের ফ্র্যানচাইজি নিতে পারবেন। যদি আপনার বতর্মান বয়স ১৮ বছরের বেশি হয়ে থাকে এবং আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেনী পাশ হয়ে থাকে, তাহলে আপনি পোস্ট অফিসের ফ্র্যানচাইজির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার জন্য আপনাকে পোস্ট অফিস ফ্র্যাঞ্চাইজি ফর্ম ফিলাপ করতে হবে যেটা কিনা আপনি পোস্ট অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। এরপর আপনার নিকটবর্তী ব্রাঞ্চে গিয়ে সেই ফর্ম জমা করতে হবে। জমা করার ১৪ দিন পর আপনাকে জানানো হবে। তবে উপরিক্ত যোগ্যতা এবং শর্তাবলী ছাড়াও, আপনাকে ৫,০০০ টাকা জমা করতে হবে এবং অন্ততপক্ষে ২০০ বর্গফুটের একটা জায়গা থাকতে হবে।
যাইহোক, উপরোক্ত শর্ত পূরণের পর আপনি ফ্র্যাঞ্চাইজি আউটলেট নিয়ে, পোস্ট অফিসে যেসব কাজ হয়, সেই সমস্ত ধরনের কাজ করে টাকা রোজগার করতে পারবেন। অন্যদিকে আপনি চাইলে পোস্টাল এজেন্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে পোস্ট অফিসের স্ট্যাম্প বিক্রি করে টাকা রোজগার করতে পারবেন। যদি আপনি বেশি টাকা রোজগার করতে চান, তাহলে আপনার জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি আউটলেট-ই নেওয়াটাই বেশি ভালো হবে।
আপনি চাইলে নিজের বাড়িতেও পোস্ট অফিস খুলে বা পোস্ট অফিসের আউটলেট নিয়ে, বিভিন্ন লাইফ ইন্সুরেন্সের কাজ, স্ট্যাম্প এবং স্টেশনারি বিক্র?রেজিস্ট্রার্ড নিবন্ধ বুকিং, স্পীড পোস্ট নিবন্ধ বুকিং, মানী অর্ডার ছাড়াও অন্যান্য কাজ করে, প্রতিটা কাজের উপর মোটা টাকা কমিশন নিয়ে, ভালো টাকা রোজগার করতে পারবেন। তবে চেষ্টা করবেন এমন জায়গায় পোস্ট অফিস খোলার, যার আশেপাশে দূরদূরান্ত পযর্ন্ত পোস্ট অফিস নেই। কারণ আপনার লাভ সেখানেই বেশি হবে।