কেন্দ্রের বালিকা সমৃদ্ধি যোজনার (balika samridhi yojana) মাধ্যমে প্রতিটা মেয়েই পাবে ১০০০ টাকা করে। এই টাকা সরাসরি মেয়েদের ব্যাংক একাউন্টে পাঠাবে কেন্দ্র। এই টাকা পেতে হলে করতে হবে একটি কাজ। এরপরেই ব্যাংক একাউন্ট ঢুকবে নগদ সেই অর্থ। চলুন জেনে নিন।
কেন্দ্রের বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা চালু হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। সাধারণ ভারতের নারী এবং শিশু উন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল তখন। কেন্দ্রের বালিকা সমৃদ্ধি যোজনার অনেকটা সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার (Sukanya samriddhi Yojana) মতোই। সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার মাধ্যমে যেমন ভারতের দরিদ্র শ্রেনীর মেয়েদের পড়াশুনার খরচ বাবদ মোটা দেয়া হয়ে থাকে তেমনি বালিকা সমৃদ্ধি যোজনাতেও টাকা দেয়া হয়ে থাকে। যাতে আবেদন করলে কেন্দ্রের তরফ থেকে সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানো হয়। শুধু তাই নয়, বালিকা সমৃদ্ধি যোজনার মাধ্যমে প্রথম শ্রেনীতে ভর্তি হওয়ার সময় থেকে শুরু করে একজন কন্যা যতদিন না পর্যন্ত সে সাবালিকা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা পেয়ে থাকে। এবং এই প্রকল্প চলে আসছে দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে।
বালিকা সমৃদ্ধি যোজনায় স্কলারশিপের (scholarship) মাধ্যমে একজন কন্যা ১০০০ টাকা করে পেয়ে থাকে। আবেদনের ফর্মটি (application form) ফিলাপ করে জমা দিলেই কেন্দ্রের তরফ থেকে পড়াশোনার খরচ বাবদ তাকে এই অর্থ দেয়া হয়। তবে শ্রেণী ভিত্তিক টাকার পরিমাণ কিছুটা আলাদা। যেমন প্রথম শ্রেনী থেকে শুরু করে তৃতীয় শ্রেনী পর্যন্ত কন্যাদের বার্ষিক ৩০০ টাকা করে দেয়া হয়। চতুর্থ শ্রেণীর কন্যাদের জন্য ৫০০ টাকা বরাদ্দ, পঞ্চম শ্রেনীতে পাঠরত কন্যারা পান বার্ষিক ৬০০ টাকা। ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণীর কন্যাদের দেয়া হয় ৭০০ টাকা এবং সর্বশেষ অষ্টম শ্রেণীর কন্যাদের দেয়া হয় ৮০০ টাকা করে স্কলারশিপ।
এভাবে করুন আবেদন:
বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা আবেদন সম্পুর্ন অফলাইন পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। এলাকার অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী কিংবা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সহ আবেদন করলেই হয়ে যায়। আবেদন করার সময় প্রয়োজন হবে আধার কার্ড, রেশন কার্ড, জন্মের প্রমানপত্র, মা-বাবার ভোটার আইডি কার্ড এবং আধার কার্ড, বাসিন্দার সার্টিফিকেট, বার্ষিক আয়ের সার্টিফিকেট, ব্যাংকের পাস বুকের প্রথম পাতার জেরক্স এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি।