রেশন কার্ডের (Ration card) মাধ্যমে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী গ্রহণ করেন না এমন মানুষ বোধহয় খুব কম আছেন। আসলে গরীব এবং মধ্যবিত্ত মানুষগুলোর জন্য বিনামূল্যে রেশন আশীর্বাদ পাওয়ার মতো সমান। রেশনে বিনামূল্যে চাল পেয়ে হয়তো কারো বা মাস শেষে চাল কেনার টাকাটা বেঁচে যাচ্ছে। আর ঐ টাকা তিনি অন্য কোন কাজে ব্যায় করতে পারছেন। কিন্তু বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী বন্টন করা সরকারের পক্ষে দিন দিন চাপের হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বিনামূল্যে রেশন বন্টন গিয়ে বহু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে সরকারকে। তার কারণ হলো করোনা অতিমারির পর থেকে দেশে বেড়ে গিয়ে ভুয়ো রেশন কার্ডের সংখ্যা (Fake Ration card)। ফলে যাদের রেশন কার্ড নেই তারাও ভুয়ো রেশন কার্ড বানিয়ে রেশন নিচ্ছেন, আবার কারো হয়তো পরিবারের কেউ বহু বছর আগে মারা গেছেন তার নামেও রেশন তুলছেন অনেকে। ফলে যাদের কাছে রেশন কার্ড আছে, যারা রেশন কার্ডের আসল উপভোক্তা তারা রেশনে পর্যাপ্ত মাল সামগ্রী পাচ্ছেন না। অন্যদিকে ভুয়ো রেশন কার্ডের কারণে সরকারের ক্ষতি হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। আর এর থেকে বাঁচতে সরকার সিন্ধান্ত নিয়েছে যে ২ কোটি মানুষের রেশন বাতিল করার। যারা কিনা ভুয়ো রেশন কার্ড দিয়ে এতো দিন রেশনে মাল তুলছিলেন।
আরো পড়ুন – কলকাতা সহ এই শহর গুলোতে কমে গেল গ্যাসের দাম! দেখুন নয়া রেট
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক পরিষেবা চালু হবার পর থেকেই ধরা পড়েছে এসব ভুয়ো ২ কোটি রেশন কার্ড। যা শীঘ্রই বাতিল করে দেয়া হবে খাদ্য দপ্তরের তরফ থেকে। আর এতে সরকারের সাশ্রয় হবে ৩,৫০০ কোটি টাকা। যদিও বাতিল হওয়া রেশন কার্ডের মধ্য কিছু কিছু এমন রেশন কার্ডও আছে যারা কিনা রেশন কার্ডের আসল উপভোক্তা, তাই রাজ্যে খাদ্য দফতরের তরফ থেকে একটা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়েছে যে কেউ যদি রেশন কার্ডের আসল উপভোক্তা হয়ে থাকেন এবং তার যদি রেশন কার্ড বাতিল করে দেয়া হয় তাহলে তিনি তার বিডিও অফিস (BDO Office) অথবা খাদ্য দফতরের সাথে যোগাযোগ করে রেশন কার্ড আবার পুনরায় সক্রিয় করতে পারবেন।