নকল বা জাল নোট ধরা খুবই কঠিন কাজ। এমনকি যারা দিনে বহু কোটি কোটি টাকা লেনদেন করেন তারাও আসল এবং নকল নোট সনাক্ত করতে পারেন না অনেক সময়। তাই আম জনতার জন্য আসল এবং জাল নোটের তরফা বোঝা প্রায় অসম্ভব বলা চলে। অন্যদিকে জাল নোট তৈরির কারবারিরা কোটি কোটি টাকার নোট তৈরি করে দিনের পর দিন ক্ষতি করছে দেশের অর্থনীতির। তাই এবারে এই সমস্ত মানুষদের শায়েস্তা করতে মাঠে নেমেছে রিজার্ভ ব্যাংক ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India)।
সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাংক ইন্ডিয়া জারি করেছে একটি বিজ্ঞপ্তি। যেখানে বলা হয়েছে যে, অলস এবং জাল নোটের মধ্যে পার্থক্য কিভাবে বোঝা যাবে। সাধারন মানুষ যাতে আসল এবং জাল নোটের মধ্যে পার্থক্য খুব সহজেই বুঝতে পারে সেই বিজ্ঞপ্তিতে উপায় বলে দিয়েছে RBI, চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক জাল এবং আসল নোটের পার্থক্য কিভাবে বুঝবেন আপনি।
এভাবে আসল এবং জাল নোট শনাক্ত করুন:
১) ধরুন আপনার কাছে একটি ৫০০ টাকার নোট আছে। সেই নোটে আপনি লক্ষ্য করুন যে মাঝামাঝি জায়গায় করে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ছবি আছে এবং পিছন দিকে রয়েছে লালকেল্লার ছবি। মাথায় ত্রিবর্ণ রঞ্জিত ভারতের জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায় লালকেল্লার মাথায়। অপরদিকে মহাত্মা গান্ধীর ছবির ঠিক পাশেই আছে সবুজ রঙের একটি রিবন। যার মধ্যে ইংরেজিতে ও হিন্দিতে লেখা আছে RBI। নকল নোটের সঙ্গে আসল ৫০০ টাকার নোটের এটাই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য।
২) নোটের সামনের দিকে লক্ষ্য করুন, মহাত্মা গান্ধীর ছবি যেদিকে রয়েছে তার ডানদিকে। দেখবেন সেখানে ওয়াটার মার্কে গান্ধীজির আরেকটি ছোট ছবি এবং একইভাবে ওয়াটার মার্কে ‘৫০০’ লেখা রয়েছে। এর ঠিক নিচে বড় করে ₹500 লেখা আছে সবুজ কালি দিয়ে। যার মধ্যে ওয়াটার মার্কে গান্ধীজির চশমা আঁকা। আপনি যদি নোটটি একটু দূরে নিয়ে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন এটি।
৩) ৫০০ টাকার নোটে দেবনাগরি এবং ইংরেজিতে ৫০০ লেখা থাকে। সেই সঙ্গে থাকে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার সাক্ষর। এছাড়া লালকেল্লার ঠিক বাঁ পাশে ১৫টি ভাষায় ‘পাঁচশ টাকা’ কথাটি লেখা থাকে। এছাড়াও আসল নোট বোঝার একটি সহজ উপায় হচ্ছে, নোটের দু’দিকে তিনটি করে নির্দিষ্ট আকারের স্ট্রিপ থাকে।এছাড়াও যারা নকল নোট তৈরি করে তারা খুবই চালাক। নোট এমন ভাবে তৈরি করা হয় যাতে সাধারণ মানুষ আসল এবং নকল নোটের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে না পারে। কিন্তু যে কোন জিনিসের মধ্যেই আসল এবং নকলের মধ্যে পার্থক্য থাকবেই। আপনি যদি RBI-এর আসল এবং নকল নোটের মধ্যে পার্থক্য ধরার কৌশল বুজে গিয়ে থাকেন তাহলে আপনার হাতে আর কখনো জাল নোট আসবে না।