দিন দিন গরম বাড়ছে। এমন গরম দিনে সবাইকেই বেশি বেশি করে জল খেতে হচ্ছে। কথায় বলে জল মানেই জীবন। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে দূষন বেড়ে চলেছে, তাতে সব জায়গায় বিশুদ্ধ জল পাওয়া খুবই মুশকিল। এরূপ পরিস্থিতিতে তাই সমস্ত জায়গাতেই বিশুদ্ধ জলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ নিজের দৈনন্দিন কাজের জন্যই হোক বা কোনো অনুষ্ঠানের জন্য, সব কাজেই বোতল জাতীয় পানীয় জল নেওয়া পছন্দ করেন। পূর্বে এই বিশুদ্ধ জলের চাহিদাটা শুধুমাত্র শহরেই ছিল। কিন্তু এখন শহর ছাড়িয়ে এই বিশুদ্ধ জলের চাহিদাটা গ্রামের দিকেও দেখা দিয়েছে। শহর এবং গ্রাম উভয় জায়গাতেই বিশুদ্ধ পানীয় জলের এই চাহিদাটাকেই আপনি ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন। এবং অল্প টাকায় পানীয় জলের ব্যবসা শুরু করে আপনি খুবই অল্প সময়ে শুনে ভালো টাকা রোজগার করতে পারেন।।
বিশুদ্ধ পানীয় (fresh water) জল সরবরাহের ব্যবসা শুরু করার জন্য সবার প্রথমেই আপনাকে একটি বড় জলের প্লান্ট তৈরি করতে হবে। এর জন্য আপনার একটি ভালো জায়গা বেছে নিতে হবে যেখানে TDS লেভেল অনেক কম থাকবে। সেই সঙ্গে আপনাকে প্রশাসনের কাছ থেকে এই ব্যবসার জন্য লাইসেন্স নিতে হবে। এই সমস্ত জিনিস ছাড়াও আপনাকে জল রাখার জন্য ২০ লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন কমপক্ষে ১০০ টি জার কিন্তু হবে। সেই সঙ্গে এই সমস্ত কাজ করবার জন্য আপনার অবশ্যই একটি বড়সড়ো জায়গা থাকতে হবে যেখানে আপনি এই সমস্ত কাজ করতে পারবেন। এবার সবকিছু করা হয়ে গেলে আপনি ইউটিউব থেকে এই কাজ সম্পর্কে আরও তথ্য জেনে বা দেখে নিতে পারেন।
বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার প্লান্ট তৈরি থেকে লাইসেন্স নেওয়া এবং জলের জার কেনা দিয়ে টোটাল খরচ আসতে পারে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। এখন যদি আপনার হাতে এত পরিমাণ টাকা থাকে তাহলে তো কোনো কথাই নেই। আর যদি আপনার হাতে এত পরিমাণ মূলধন না থাকে তাহলে আপনি ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন। যদি আপনি একটু বেশি টাকা খরচ করে এমন একটি প্ল্যান্ট তৈরি করতে পারেন যেটা দৈনিক ১০০০ লিটার জল পরিশোধন করে দিতে পারবে তাহলে আপনি অনায়াসে মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা রোজগার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি আপনার ব্যবসার প্রচার করার জন্য অ্যাডভারটাইজমেন্ট এর সাহায্য নিতে পারেন। এতে অল্প সময়ে আপনার নিজের এলাকাতে ব্যবসা ছড়িয়ে পড়বে এবং আপনি বেশি জায়গায় জল পৌঁছে দিয়ে অধিক পরিমাণ লাভ নিতে পারবেন।।