২০২৩ সালে স্বাধীনতা দিবসে দিল্লির লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে এমন একটি সুযোগের কথা মহিলাদের জন্য ঘোষণা করেছিলেন, যেই সুযোগটা যদি সকল মহিলা কাজে লাগাতে পারে, তাহলে প্রত্যেক মহিলাই একটা সময় পর প্রতি মাসে কিন্তু কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগার করতে পারবে।
ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় Equality শব্দের উল্লেখ রয়েছে। এই ইকুয়ালিটি বলতে বোঝায় সকলেই সমান। এবার অন্যান্য ক্ষেত্রের কথা বাদ দিয়ে যদি আমরা পরিবারের উন্নতির কথা ভাবি, তাহলে সেখানেও পুরুষের পাশাপাশি মহিলাদের সমান ভুমিকা। সুতরাং পরিবারে যদি পুরুষ রোজগার করতে পারে তাহলে মহিলারা রোজগারের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকবে কেন।
তাই প্রত্যেকটা পরিবারের মহিলা যাতে রোজগার করতে পারে এবং পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারে সেজন্য শুরু করা হয়েছিল লাখপতি দিদি যোজনা (Lakhpati Didi Yojana). এই জন্য সর্বপ্রথম শুরু করা হয়েছিল হরিয়ানায় কিন্তু ২০২৩ সালে ভারতের সকল রাজ্যের মহিলাদের জন্য চালু করা হয়। আসলে লাখপতি দিদির জন্য হলো মহিলাদের স্কিল ডেভেলপমেন্টের এক প্রোগ্রাম ।
এই প্রোগ্রামের মধ্য দিয়ে মহিলাদের এলইডি বাল্ব তৈরি, ড্রোন মেরামতের মতো LED বাল্ব তৈরি, দ্রোন তৈরি, সারাই, টেকনিক্যাল ট্রেনিং, প্লাম্বিং, গিফট আইটেম মেকিং সহ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণ পাওয়ার পর তারা যেমন নিজ উদ্যোগে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে পারে ঠিক সেরকম দ্বারা গোষ্ঠীভিত্তিকভাবেও নিজেদের কাজ শুরু করে প্রতিমাসে কয়েক লক্ষ টাকা রোজগার করতে পারে। এইজন্যই এই প্রকল্পের নাম লাখপতি দিদি যোজনা।
যে সমস্ত মহিলা বাড়ির কাজের পাশাপাশি নিজে কিছু করতে চায়, তাদের জন্য কিন্তু এই প্রকল্পটা একেবারেই আদর্শ। যে সমস্ত মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য শুধুমাত্র তারাই এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন। সবচেয়ে বড় কথা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য কোনো সুদ ছাড়াই সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এই প্রকল্প থেকে ঋণ হিসেবে নিতে পারেন। তাই যারা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে চান তারা নিজেদের BDO অফিসে গিয়ে এই ব্যাপারে যোগাযোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: বেকারদের প্রতিমাসে ১,৫০০ টাকা