রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) রাজ্যে মহিলাদের আর্থিক দিক থেকে সহায়তা করার জন্য অনেক আগেই লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা চালু করেছিলেন। আমাদের রাজ্যের বেশিরভাগ মহিলা প্রথম থেকেই লক্ষ্মীর প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন এবং তারা সুবিধা পাচ্ছেনও। কিন্তু এখনও এমন অনেকেই আছেন যারা নতুন করে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন। যারা ২০২৩ সালে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন- তারা কবে থেকে টাকা পেতে শুরু করবেন, অনেক আগেই লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত টাকা পাচ্ছেন না? কেন আপনারা টাকা পাচ্ছেন না বা কেন আপনার আবেদন পত্র বাতিল হলো? সেটাই জানাবো আজকের এই প্রতিবেদনে।
যারা ২০২৩ সালে প্রথমবারের জন্য লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন,তাদের এখনো পর্যন্ত ব্যাংকে টাকা না ঢোকার প্রথম কারণ হলো-এ বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে (dware Sarkar camp) নতুন করে কয়েক লক্ষ আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এত সংখ্যক নতুন আবেদন পত্র খতিয়ে দেখাবার, সেগুলো ঠিক নাকি ভুল সেটা যাচাই করা দেখতে স্বাভাবিকভাবেই অনেক সময় প্রয়োজন। তবে নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে যে, চলতি মে মাসের মধ্যেই এই সমস্ত নতুন আবেদনপত্র যাচাই করে দেখার কাজ শেষ হবে। যখনই নতুন আবেদন পত্র গুলি যাচাই করে দেখা শেষ হবে, তখনই তাদের টাকা ব্যাংকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।।
আপনাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা অনেক আগেই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত এক মাসেরও টাকা পাননি। যদি আপনার ক্ষেত্রেও এমন হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার আবেদনে কোথাও ভুল হয়েছে। মূলত দুটি কারণে আবেদন পত্র বাতিল হয়ে যায়। প্রথমত কারণ এটাই যে,আপনি যদি আপনার আবেদনপত্রের সঙ্গে নিজের কাস্ট সার্টিফিকেট জমা না করেন, তাহলে আপনি টাকা পাবেন না। দ্বিতীয়ত, যদি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করানো না থাকে,তাহলে আপনি টাকা পাবেন না। তাই যখন আপনি আবেদনপত্র জমা করবেন, তখন সেখানে কাস্ট সার্টিফিকেট অবশ্যই মনে করে দেবেন। এবং নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট (Bank account) আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করানোর পরেই জমা করবেন।।