আপনি হয়তো অনেক সময় দেখেছেন যে অনেক কোম্পানি নিজের কোম্পানির নাম অনুসারে একটা লোগো তৈরি করে সেই লোগো একটি টি-শার্টের উপর প্রিন্ট করে সেটা ব্যবহার করে থাকে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র টি-শার্ট ই দেখা যায় না ; কোম্পানির লোগোযুক্ত কাপ, ক্যাপ ছাড়াও নোটবুকও দেখা যায়। এক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোম্পানি বা একজন ব্যক্তি টি-শার্ট,কাপ, নোটবুক ইত্যাদির উপর নিজেদের লোগো বা নিজের নাম প্রিন্ট করে সেটাকে ব্যবহার করতে পারে, সেই হয় প্রিন্টিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এবং এই যে লোগো প্রিন্ট করার কাজ রয়েছে এটাই হল প্রিন্টিং এর ব্যবসা। এটা এমন এক ব্যবসা যার প্রতিযোগিতা বাজারে নেই বললেই চলে। কিন্তু প্রতিযোগিতা না থাকলেও এটা এমন একটা ব্যবসা যার চাহিদা ভবিষ্যতে বাড়তেই থাকবে এবং এই ব্যবসা করে যেকোনো ব্যক্তি খুবই অল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর টাকা করতে পারেন। সবচাইতে বড় কথা হলো প্রিন্টিং এর ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার খুব বেশি মূলধনেরও প্রয়োজন হয় না। খুবই অল্প টাকা থেকে প্রিন্টিং এর ব্যবসা শুরু করে আপনি প্রতি মাসে কয় হাজার থেকে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগার করতে পারেন।
প্রিন্টিং এর ব্যবসা কী কী কাজ করা যায়?
আপনি প্রিন্টিং মেশিন কেনার পর সেটাকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন ছোটো বড় কোম্পানির জন্য টি শার্ট প্রিন্টিং এর কাজ, নোটবুক প্রিন্টিং এর কাজ, ক্যাপ প্রিন্টিং এর কাজ ইত্যাদি। যদি আপনার সাথে কয়েকজন এমন লোক থাকে যারা আপনাকে এই কাজে সাহায্য করতে পারবে, তাহলে আপনি প্রিন্টিং এর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সকল কাজ একসঙ্গে করতে পারেন ম কিন্তু যদি আপনি একলা হয়ে থাকেন তাহলে প্রিন্টিং এর ব্যবসার যেকোনো একটি ভাগ নিয়ে কাজ করা আপনার জন্য সুবিধা হবে। এক্ষেত্রে আপনি শুধুমাত্র টি-শার্ট প্রিন্টিং অথবা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নোটবুক প্রিন্টিং এর কাজটাও করতে পারেন। এর মধ্যে দুটোই আপনার জন্য যথেষ্ট লাভদায়ক হবে।
প্রিন্টিং এর ব্যবসা থেকে কেমন রোজগার করা যেতে পারে?
প্রিন্টিং এর ব্যবসা থেকে কেমন রোজগার করা যেতে পারে সেটা কখনোই নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হবে না। তবে উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। ধরুন, আপনি কোম্পানির কাছ থেকে ৪০ টাকায় একটি টি-শার্ট কিনলেন। এরপর সেটা প্রিন্ট করে বাজারে বিক্রি করার মত অবস্থায় নিয়ে আসতে সেটার উপর আপনার খরচ পড়লো ৭০ টাকা। এখন একটি ভালো ডিজাইন করা t-shirt বাজারে অনায়াসেই ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করা যেতে পারে যদি সেটা ভালো মানের টি-শার্ট হয়ে থাকে। এখন এই উদাহরণ দেখে বোঝাই যায় যে, একটি টি-শার্টের উপর আপনার কম করে হলেও ৭০ ইনকাম টাকা থাকবে। এখন যদি আপনি প্রতিমাসে ১০০০ টা T-Shirt সেল করতে পারেন, তাহলেও সেখান থেকে ৭০,০০০ টাকা সহজেই রোজগার করতে পারবেন।
এই গেলো শুধুমাত্র T-Shirt এর কথা। এর সাথে যদি আপনি নোটবুক, কাপ প্রিন্ট করেন, তাহলে সেখান থেকে আপনি মিনিমাম ৪০% লাভ পাবেন। আর এইভাবেই আপনি প্রিন্টিং এর কাজ করে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা রোজগার করতে পারেন।।