#নিউজ ডেস্কঃ ধার তততাই নেওয়া উচিত যতটা আপনি শোধ করতে পারবেন। ২০১৯ সালে স্লোভেনিয়ার ২২ বছর বয়সী এক তরুণী মহিলা ধার শোধ করতে না পেরে শেষপর্যন্ত কেটে ফেলেছেন নিজের হাত। হাত কেটে বাদ দিয়ে একটি বীমা সংস্থা থেকে প্রায় ৮ কোটি টাকার দাবি করেন তিনি।
যদিও এসব জানাজানি হলে ২২ বছর বয়সী ওই তরুণীকে পরে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ডেইলি মেইলের একটি প্রতিবেদন বলছে, বয়ফ্রেন্ডের সাথে মিলে জুলিজা তার হাতের কব্জির একটু উপরের দিক করাত দিয়ে কেটে ফেলেন। এরপর বীমা সংস্থার থেকে ৮ কোটি টাকা দাবি করেন তিনি। জুলিজার নামে প্রায় ৮ কোটি টাকার ৫টি বীমা পলিসি ছিল ওই বীমা সংস্থায়। ডেইলি মেইল বলছে, হাত কাঁটার পিছনে প্রেমিক সেবাসিয়ান আব্রামভ জুলিজার বাবা-মায়ের সাথে এ বিষয়ে একটি পরিকল্পনা করেছিলেন। যদিও হাত কাটার পর বীমা প্রতারণায় ধরা পড়ে যান তাঁরা।
হাত কাটার পর হসপিটালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন জুলিজার। কিন্তু সঙ্গে করে তিনি নিয়ে যাননি ওই কাঁটা হাত। বদলে জুলিজা ডাক্তারদের বলেন, একটি দূর্ঘটনার শিকার হয়ে তিনি তার হাত হারিয়ে ফেলেছেন। যাতে করে ডাক্তাররা আর সেই হাত জোড়া লাগাতে না পারেন।
কিন্তু ক্ষণেই বুঝে যান ডাক্তাররা। দূর্ঘটনায় বাদ পড়া হাতের জায়গা এমন হতে পারে না। এরপর খুঁজে বার করেন তারা ওই হাত। এদিকে ওই বিমা সংস্থার বীমার নিয়ম অনুযায়ী, জুলিজা যদি কাজ করতে অক্ষম হন, তাহলে সে প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণ বীমা এবং বাকি টাকা অল্প পরিমাণে পাবেন।
View this post on Instagram
কিন্তু হাত কাটার ঘটনা সামনে চলে আসতেই জুলিজাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে জুলিজার প্রেমিক সহ জুলিজার মা-বাবাকেও। জানা গেছে, বীমা প্রতারণার অভিযোগে জুলিজার প্রেমিক সহ জুলিজার মা- বাবাকে ৫ মাসের সাজা দেয় বিচারক। ৩ বছরের সাজা হয় জুলিজার।