#নিউজ ডেস্কঃ বাঁদরের বাঁদরামি নয়, বন্ধুদের বাঁদরামি। তাই মলদ্বারে ঢুকিয়ে দিল আস্ত একটি স্টিলের গ্লাস। তবে গ্লাস ঢোকানোর সময় বিন্দুমাত্র টের পাননি ওই ব্যক্তি। কারণ বন্ধুদের সাথে মদ খেয়ে দিব্যি মাতাল হয়ে পড়েছিলেন তিনি। আর এ সুযোগেই মাতাল বন্ধুরা মজা করে ওই ব্যক্তির মলদ্বারে ঢুকিয়ে দেয় ওই স্টিলের গ্লাসটি। কিন্তু ১০ দিন পরেই ওই ব্যক্তির সঙ্গে ঘটে অঘটন।
জানা গেছে, মলদ্বারে গ্লাস ঢুকিয়ে দেবার কারণে ১০ দিন পর কৃষ্ণ রাউতার (৪৫) নামে ওই ব্যক্তির মলদ্বারে প্রচুর পরিমাণে যন্ত্রণা শুরু হয়। এমনকি ওই গ্লাসের জন্য তার মলও আটকে গিয়েছিল। একে তো মলদ্বারে অসহ্য যন্ত্রণা তার উপর আবার পায়খানা আটকে গিয়েছে! এটা দেখে বেজায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যান রাউতার। জানা গেছে, রাউতারের বাড়ি ওড়িশার গঞ্জাম জেলায়। কিন্তু তিনি কর্মসূত্রে থাকেন গুজরাটের সুরাটে। এরপর সোজা গুজরাট থেকে নিজের গ্ৰামের বাড়িতে ফিরে আসেন রাউতার।
গ্ৰামে ফিরেই সর্বপ্রথম এক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে মলদ্বারের X-ray রিপোর্ট বার করান রাউতার। সেখানে দেখা যায় মল বের হবার ঠিক ওই জায়গায় আটকে আছে স্টিলের গ্লাসটি। এটা দেখে হতভম্ব হয়ে যান ডাক্তার। এরপর সোজা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রাউতারের মলদ্বার থেকে ওই গ্লাসটি বের করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসক। সৌভাগ্যবশত গ্লাসটি রাউতারের মলদ্বার থেকে বের করা গেলেও এ অপারেশন ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ গ্লাসটি টুকরো টুকরো করে কেটে তারপর বের করতে হয়েছিল।
ঘটনায় রাউতার জানিয়েছেন, কর্মক্ষেত্রের বন্ধুরা যে তার সাথে এমন কাজ করবে তিনি সেটা স্বপ্নেও ভাবেননি। যদিও ওই বন্ধুদের সঙ্গে রাউতার আর কোন সম্পর্ক রাখবেন না বলে জানিয়েছেন।