#নিউজ ডেস্কঃ বাঘের চামড়া চুরির অভিযোগে মধ্যে প্রদেশ (Madhya Pradesh) থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল চার জন ব্যক্তিকে। তাদের জেলও হয় ৪ বছর। কিন্তু পরে ফরেনসিক (Forensic) পরিক্ষার পর জানা যায় সেটি আসলে বাঘের চামড়া নয় বরং কুকুরের চামড়া ছিল।
এই নিয়ে আদালত পুলিশ এবং বনবিভাগকে তীব্র কটাক্ষও করেন। এবং অভিযুক্ত ওই চারজনকে অবশেষে বেকুসুর খালাস দেয় আদালত।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে ২২ জুলাই (July) মধ্যে প্রদেশের ছিন্দওয়ারা (Chhindwara) জেলার রানিকামাত(Ranikamat) এলাকা থেকে পুলিশ এবং বনবিভাগের যৌথ অভিযানে ১. রাজের বিশ্বনাথ, ২.সন্দীপ অরিহওয়ার , ৩.রামকুমার অরিহওয়ার এবং ৪.অরিজিৎ নামে ওই চার জন যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে বাঘের চামড়া বিক্রি করছিলো। এবং তাদের থেকে জব্দ করা হয় সেই বাঘের চামড়াটিও।
পরে ভারতীয় প্রাণী সুরক্ষা আইনে মামলা করে তাদের কোর্টে চালান করে দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের আইনজীবী সতিশ রাজ (Satish Raj) তিনি ৪ বছর পর আদালতে এটা প্রমাণ করেন, বাঘের চামড়া চুরির অভিযোগে যাদের পুলিশ আটক করেছিল সেটি আসলে বাঘের চামড়া ছিল না বরং সেটি ছিল কুকুরের চামড়া। সতীশ আরো বলেন, আমি প্রথম থেকেই প্রমাণ করতে চেয়েছি এটি কুকুরের চামড়া। কিন্তু পুলিশ আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর(October) স্কুল অফ ওয়েলফেয়ার ফরেনসিক এন্ড হেলথ (School of Welfare Forensics and Health) নিশ্চিত করেছিল বাঘের চামড়া বলে উদ্ধার হওয়া চামড়াটি আসলে কুকুরের চামড়া ছিল। কিন্তু পুলিশ তা জানার সত্তেও চার বছর পর ২০২১ সালে আদালতে প্রতিবেদন জমা করে। বলেন সতীশ রাজ।
#আরো পড়ুনঃ স্বামীর আগে মেয়েকে দুধ দেওয়ায় তালাক স্ত্রী!