নিউজ ডেস্ক: নপুংশক করা হবে ধর্ষণকারীকে সীলমোহর পাকিস্তানের পার্লামেন্টের।
সম্প্রতি পাকিস্তানের পার্লামেন্টে এমনি একটি বিল পাশ করা হয়েছে যেখানে যে বা যারা ধর্ষণ কান্ডের সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে ঔষধের মাধ্যমে নপুংশক করা হবে।
কিন্তু এই আইন নিয়ে পাকিস্তানে নানা জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি দেখা দেয়। বিক্ষোভ কারীদের দাবি শারিয়াহ কানুনে কোথায় লেখা নেই যে ধর্ষণকারীকে নপুংশক করা হবে। বরং শারিয়াহ কানুন এটা বলা আছে যে ধর্ষণকারীকে জনসমক্ষে ফাঁসির সাজা দেওয়া হবে। বিক্ষোভ কারীদের আরো দাবি, ধর্ষণকারীকে কেমিক্যাল এর মাধ্যমে নপুংশক করা হলে হয়তো ধর্ষণকারীর বেশি ক্ষতি হবে না।
আপনাদের জানিয়ে রাখি প্রতি কয়েক বছর অন্তর অন্তর জর্জ টাউন ইনস্টিটিউট এর Giwps নামে একটি ওয়েবসাইটের তরফ থেকে বিভিন্ন দেশ গুলোতে নারী সুরক্ষা নামে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। ও তাদের তরফে একটি রিপোর্ট পাবলিক (published) করা হয়। সেখানে বিভিন্ন দেশের নারীদের উপর ধর্ষণের তথ্য উল্লেখ থাকে। যেখানে পৃথিবীর মধ্যে নারী সুরক্ষা দিক থেকে প্রথম স্থানে রয়েছে নরওয়ে। দ্বিতীয় স্থান রয়েছে ফিনল্যান্ড। কিন্তু সেই লিস্টে পাকিস্তান অবস্থান করছে ১৭০ মধ্যে ১৬৭ নম্বরে।
এই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে পাকিস্তানের প্রতিদিন কমপক্ষে ১১ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন।আর অন্য দিকে ভারতবর্ষে প্রতিদিন ৭৭ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন, কিন্তু দেখার বিষয় ভারত জনসংখ্যা দিক থেকে পাকিস্তানের থেকেও অধিক মাত্রায়, তাই স্বাভাবিকভাবে ভারতে ধর্ষণ মামলা বেশি। তবে এই রিপোর্ট নিয়ে ভারত সরকারকেও গভীর ভাবে ভাবা উচিত।
কিন্তু পাকিস্তানে ইসলামী সংগঠনের তরফে বলা হচ্ছে এই রিপোর্টে ভুল তথ্য রয়েছে আসলে পাকিস্তানের প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জন নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে।
ছবি: সংগৃহীত |
কিছু বছর আগে ঘটনা, একজন পাকিস্তানি মহিলা রাতে গাড়ি চালিয়ে তার নিজের বাড়ি যাচ্ছিল,ঠিক তখনি কিছু লোক গাড়ি থামিয়ে মহিলাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং তাকে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে পাকিস্তানের সাধারণ জনগন। এবং তার কিছু দিন পরেই ধর্ষণকারী পুলিশ জালে ধরা পড়লে, জনগণের চাপে পড়ে ধর্ষণকারীকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়।
তাই এই ঘটার পর পাকিস্তান সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ধর্ষণকারীদের তার উপযুক্ত সাজা অর্থাৎ তাকে নপুংশক করা হবে, আর সেজন্য পার্লামেন্টে বিল পাশ করা হয়।